তোতলামির সমস্যা দূর করার উপায় | আপনার কি কথা বলতে সমস্যা হয়? জেনে নিন সমস্যার সমাধান

Author:

Published:

Updated:

তোতলামি দূর করার উপায়

আপনি কি কথা বলতে গিয়ে প্রায়ই আটকে যাচ্ছেন? কোনো নির্দিষ্ট শব্দ উচ্চারণ করতে সমস্যা হচ্ছে? বা মাঝে মাঝে বাক্য লম্বা করে টেনে বলে ফেলছেন?

তাহলে বুঝে নিতে হবে যে, আপনি তোতলামি জনিত সমস্যায় ভুগছেন। তোতলামির সমস্যার কারণে, সবার সামনে কথা বলতে গিয়ে প্রায়ই বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়।  

তবে হতাশ বা দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হওয়ার কিছু নেই। কিছু সহজ পদ্ধতি অবলম্বন করলে আপনি সহজেই তোতলামির সমস্যাটি থেকে বের হয়ে আসতে পারবেন।

আসলে তোতলামি বা স্ট্যামারিং কি? তোতলামি বা স্ট্যামারিং এমন একটি সমস্যা, যার ফলে কিছু মানুষ একই শব্দকে বারবার বলে বা কথা বলার সময় বেঁধে যায়। আবার, অনেক সময় একই শব্দকে টেনে লম্বা করে বলতে থাকে।

কোনো কোনো ক্ষেত্রে শব্দ উচ্চারণে অসমর্থ হয়ে পড়ে। অনিচ্ছাকৃত এই সমস্যার কারণে কথা বলার স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হয়।

স্বাভাবিকভাবে যখন ১০০-১২০ টি শব্দ উচ্চারণে ৫শতাংশ বা তার বেশি শব্দ আটকে যায়, তখন তাকে স্ট্যামারিং বলে।

সকল বয়সের মানুষের ক্ষেত্রেই তোতলামির এই সমস্যাটি দেখা যায়। এর মধ্যে ৮০ শতাংশই পুরুষ। তবে এই ধরনের সমস্যা ২-৬ বছরের শিশুদের মাঝে বেশি দেখা দেয়। ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ শিশুর ক্ষেত্রে এই সমস্যা নিজে থেকেই একসময় চলে যায়।

অন্যদের এই সমস্যা নিয়েই জীবন কাটতে হয়। তাদের এই প্রতিবন্ধকতা পুরোপুরি ভালো হয় না। পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় ১ শতাংশ মানুষ এই সমস্যায় ভোগেন।

তোতলামি দূর করার উপায়

তোতলামি বা কথা বলার বিশেষ সমস্যার কারণ খুঁজতে শত শত বছর ধরে চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। ঠিক কি কারণে মস্তিষ্ক শব্দ বা বাক্য তৈরি করতে বাঁধা পায়, সে সম্পর্কে এখনো বিজ্ঞানীরা কোনো সূত্র খুঁজে পায়নি।

কারণ বের করার জন্য ১৫ বছর ধরে একটি পদ্ধতি প্রয়োগ করা হচ্ছে। আর তা হল ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমেজিং বা এমআরআই। এই পদ্ধতিতে মস্তিষ্কের ক্রিয়াকর্মের ছবি উঠে আসে।

এতে দেখা যায়, যাদের তোতলামির সমস্যা থাকে তাদের মস্তিষ্কের বাম অংশের সামনের দিকে অসংগতি থাকে। যে দিকটির দায়িত্বে রয়েছে কথা বলা নিয়ন্ত্রণ করা।

আপনার যদি তোতলামির সমস্যাটি থেকে থাকে, তবে লজ্জা বা ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কারণ শুধু আপনি একা নন আরো অনেকেই এই সমস্যায় ভুগছেন।

অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিদেরও তোতলামির সমস্যা ছিল। তারা ধৈর্য এবং চর্চার মাধ্যমে এই সমস্যাকে দূর করতে পেরেছেন।

যেমন, বিখ্যাত অভিনেতা James Earle Jones অল্পবয়সেই তার তোতলামির সমস্যাকে জয় করেছিলেন। তাই আজ তার অসাধারণ কণ্ঠের জন্য তিনি সবার কাছে পরিচিত। অপরদিকে, হলিউড সুন্দরী মার্লিন মনেরোরও তোতলামির সমস্যা ছিল।

কিন্তু এটি কখনো তার সাফল্যের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় নি। তিনি তার সৌন্দর্য এবং প্রতিভা দিয়ে সবার মন জয় করেছিলেন।

আপনার এবং একজন সফল মানুষের মধ্যে পার্থক্যগুলো- জানতে ক্লিক করুন

১৯৪০ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ প্রাইম মিনিস্টার ছিলেন উইনস্টন চার্চিল। তিনি পরবর্তীতে আবার ১৯৫১ থেকে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত শাসন করেন। একসময় তোতলামোর সমস্যা থাকা সত্ত্বেও, তিনি তার অসাধারণ বক্তৃতার মাধ্যমে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পেরেছিলেন।

আবার ইতিহাস লক্ষ্য করলে দেখা যায়, ২য় বিশ্বযুদ্ধ্বের সময় গ্রেট ব্রিটেনের রাজা ছিলেন চতুর্থ জর্জ। সে সময় রেডিওর মাধ্যমে জনসাধারণের কাছে পাঠানো তার অনুপ্রেরণামূলক বার্তা তাকে আজও স্মরণীয় করে রেখেছে।

তাকে নিয়ে তৈরি করা The Kings speech ছবিটি পুরস্কারপ্রাপ্ত হয়। ছবিটি তার জীবন এবং তোতলামির সমস্যা কে তুলে ধরেছে।

তোতলামির সমস্যা দূর করার উপায়

শুধু কিছু প্রচেষ্টা আর ধৈর্যের মাধ্যমে আপনিও আপনার তোতলামির সমস্যাকে কাটিয়ে উঠতে পারেন। তাই তোতলামির সমস্যাকে দূর করতে কিছু কার্যকরী পদ্ধতি নিয়ে আমাদের আজকের এই আলোচনা।

তোতলামি দূর করার উপায়

১. অভ্যাসগুলো বোঝার চেষ্টা করুন

কথা বলতে গিয়ে কোন কোন ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে তা বোঝার চেষ্টা করুন। আপনি কি একই বর্ণ বা একই সিলেবল বারবার উচ্চারণ করছেন, নাকি শব্দটি লম্বা সময় ধরে টেনে উচ্চারণ করছেন।

আপনি আপনার তোতলামির সমস্যা কে কিভাবে দেখছেন, সেটাও একটা বড় ব্যাপার। কোনো পরিস্থিতিতে বা কারো সাথে কথা বলার সময়, আপনি এই সমস্যাটি কাটিয়ে উঠতে পারছেন কিনা লক্ষ্য করুন। আপনার অভ্যাসগুলো ঠিকমত বুঝতে পারলে, আপনি আপনার তোতলামির সমস্যাটি সহজেই দূর করতে পারবেন।

২. মনকে রিল্যাক্স রাখুন

দুশ্চিন্তা বা নার্ভাসনেস তোতলামির সমস্যার একটি বড় কারণ। যথাযথ উদ্বেগমুক্ত হওয়ার মাধ্যমে সমস্যাটি সহজেই দূর করা যায়। কথা বলতে গিয়ে তোতলানোর সমস্যা দূর করার জন্য মনকে রিল্যাক্স রাখতে হয়। মনকে রিল্যাক্স রাখার বেশ কিছু পদ্ধতি আছে।

কথা বলার প্রয়োজন হলে বা কাউকে আপনার কথা শোনাতে চাইলে, প্রথমে কিছু সময় নিয়ে নিজের মনকে শান্ত করুন। এক্ষেত্রে আপনার যতটুকু সময় প্রয়োজন আপনি ততটুকু সময়ই নিন।

একবার আপনার মন চিন্তামুক্ত হয়ে গেলে, পরের ধাপে নিজের প্রতি পজিটিভ ধারণা আনার চেষ্টা করুন। কল্পনা করুন, যে আপনি সাবলীলভাবে কথা বলছেন বা বক্তৃতা দিচ্ছেন।

শুধুমাত্র পজিটিভ চিন্তা করুন। আপনার তোতলানোর সমস্যা নিয়ে একদম দুশ্চিন্তা করবেন না।

মনকে রিল্যাক্স রাখার পদ্ধতিটি আপনাকে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠতে সাহায্য করবে। এবং আপনি সহজেই অন্যদের সাথে কথা বলতে পারবেন।

আপনি কি সহজেই নার্ভাস হয়ে পড়েন? কিভাবে নার্ভাসনেস কাটাবেন- জানতে ক্লিক করুন

৩. কথা বলতে স্বচ্ছন্দবোধ হয় এমন কারো কথা ভাবুন

প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী বক্তারাও নার্ভাসনেসের কারণে কথা বলতে গিয়ে হঠাৎ আটকে যান। যাদের তোতলামির সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে এরকম পরিস্থিতি আরো দুর্বিষহ। ভয় পান বা অপছন্দ করেন এমন কোনো ব্যক্তির মুখোমুখি হলে, এই সমস্যাটি আরো বেড়ে যাচ্ছে? তাহলে এই পদ্ধতি অনুসরণ করুন।

সবাই আপনার এই সমস্যা নিয়ে মজা করার জন্য সুযোগ খুঁজছে। প্রথমেই এমন চিন্তাভাবনা থেকে বেড়িয়ে আসুন।

নতুবা আপনি আরো বেশি তোতলামির সমস্যায় জড়িয়ে পরবেন। এবং সমস্যাটি কাটিয়ে উঠতে পারবেন না। বরং এটা ভাবুন, সবাই আপনার কথা শুনতে বেশ আগ্রহী।  

যখন আপনি আপনার কাজের সহকর্মীদের সাথে কথা বলতে ভয় পান তখন কল্পনা করুন, যে এই মানুষগুলো আপনার কাছের বন্ধু বা আপনার পরিবারের কেউ। এরকম চিন্তাভাবনার ফলে আপনি শীঘ্রই আত্মবিশ্বাসী এবং সাহসী হয়ে উঠবেন।

তোতলামি দূর করার উপায়

 

৪. ধীরে ধীরে কথা বলুন

এই পদ্ধতিটি অদ্ভুত মনে হলেও বেশ কার্যকরী। তাই ধীরে ধীরে কথা বলা শুরু করুন। কথা বলার সময় বা তোতলানোর সময় দুশ্চিন্তা করলে, ঠোঁট এবং জিভের উপরও প্রভাব পড়ে। তাই ধীরে ধীরে এবং নরমভাবে কথা বলুন।

আপনি কি কোনো নির্দিষ্ট শব্দ বলতে স্বচ্ছন্দ বোধ করছেন না? বা পছন্দ করেন না এমন শব্দ বলতে গেলে সমস্যা হচ্ছে?আবার, বলতে ভয় পান এমন শব্দ আপনাকে কথা বলতে বাঁধা দিচ্ছে?

তাহলে শব্দটি শুধু একটু সময় নিয়ে উচ্চারণ করুন। যেমন ফ্যাশন শব্দটি উচ্চারণ করতে গিয়ে সমস্যা হলে বলতে পারেন ফ্যা-শন।

কথা বলতে গিয়ে আপনার কতটুকু সময় লাগছে তা নিয়ে ভাববেন না। দুশ্চিন্তা করবেন না এবং খেয়াল রাখবেন দুশ্চিন্তা আপনার মুখের পেশীতে যেন কোনো প্রভাব না ফেলতে পারে।

এভাবে চর্চা করলে আপনি একসময় শিখে যাবেন কিভাবে ধীরে ধীরে কথা বলতে হয়। তখন কথা বলার সময় আপনার আত্মবিশ্বাস আরো বেড়ে যাবে।

এই পদ্ধতির সাহায্যে আপনি তোতলামির সমস্যাকে চিরতরে দূর করতে পারবেন।

চাকরির ভাইভা নিয়ে চিন্তিত? জেনে নিন কার্যকরী কিছু টিপস

৫. চিন্তাভাবনা এবং শব্দগুলো কল্পনা করুন

গবেষণায় দেখা গেছে, মস্তিষ্কে কিছু অনিয়মের কারণে তোতলামির সমস্যা দেখা দেয়। বক্তৃতা দেওয়ার ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের ভূমিকা হল-এটি প্রথমে আমাদের চিন্তাভাবনার প্রক্রিয়াকে ধারণ করে।

এরপর আমাদের ভাবনাগুলোকে শব্দে রূপান্তর শেষে বাক্য হিসেবে তৈরি করে দেয়। তোতলামির সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রে কল্পনা করা বা ভিজুয়ালাইজেশন একটি পরীক্ষিত উপায়। কথা বলার সময় এটি মস্তিষ্ককে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।

কল্পনা করা বা ভিজুয়ালাইজেশন অন্যদের সাথে কমুউনিকেশন বাড়ানোর ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র। স্পিচ বিশেষজ্ঞরা তাদের আর্টিকুলেশন থেরাপিতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করেন, যা তোতলামির সমস্যা সহজেই দূর করতে কার্যকরী।

এই পদ্ধতি মস্তিষ্ককে দ্রুত তথ্য সাজাতে, শব্দ গঠন করতে এবং কথা সাবলীলভাবে বলতে সাহায্য করে। কথা বলার সময় সেই শব্দগুলো কল্পনা করে, আপনি সহজেই আপনার জড়তা কাটিয়ে উঠতে পারবেন।

তোতলামি দূর করার উপায়

 

৬. জোরে পড়ুন

পড়ার জন্য মজার কোনো বই নিন এবং আপনার পছন্দমত জায়গা বা আপনার ঘরে গিয়ে বসুন। এবার সর্বোচ্চ ভলিউমে গান ছেড়ে দিয়ে জোরে জোরে পড়ার চেষ্টা করুন। পাশেই একটি রেকর্ডার রাখুন আপনার কথা রেকর্ড করার জন্য।

বইটি পড়ে শেষ করার পর, আপনার করা রেকর্ডিংটি শুনুন। আপনি খুবই অবাক হবেন যে, সম্পূর্ণ রেকর্ডিং এ খুব কমই আপনার তোতলানোর সমস্যা দেখা গেছে। কারণ আমাদের আমাদের বাম মস্তিষ্ক কথা বলা নিয়ন্ত্রণ করে এবং ডান মস্তিষ্ক গান গাইতে সাহায্য করে।

তাই গান শুনতে শুনতে বা গানের সুরে কথা বলতে চেষ্টা করুন। এতে করে দুই পাশের মস্তিষ্ক নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের সেতু তৈরি করতে সক্ষম হবে। এই চর্চার মাধ্যমে আপনি আপনার জড়তা অনেকটা কাটিয়ে উঠতে পারবেন।

দৈনন্দিন কথাবার্তায় এই পদ্ধতিতে কথা বলা অসম্ভব। তবু এই অনুশীলন আপনাকে আপনার আত্মবিশ্বাস তৈরি করতে সাহায্য করবে, যে আপনি আপনার তোতলামির সমস্যা জয় করতে সক্ষম।

৭. আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চর্চা করুন

তোতলামির সমস্যা দূর করতে আপনি এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আপনি যে কোনো কিছু নিয়ে কথা বলতে পারেন।

যেমন, আবহাওয়া, কোনো কিছু নিয়ে আপনার পরিকল্পনা ইত্যাদি।  এই পদ্ধতি আপনার ভেতর আত্মবিশ্বাস তৈরি করতে সাহায্য করবে। ফলে আপনি তোতলানোর সমস্যা কাটিয়ে সহজ ও সাবলীল্ভাবে কথা বলতে পারবেন।

তোতলামির সমস্যা নিয়ে লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই। তাই হতাশাগ্রস্থ না হয়ে সমস্যাটি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করুন। আশা করি এক্ষেত্রে উপরের পদ্ধতিগুলো আপনাকে সাহায্য করবে জড়তা কাটিয়ে সাবলীলভাবে কথা বলতে।

সহজেই তোতলামির সমস্যা দূর করতে নিচের ভিডিওটি দেখুন 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Latest posts

  • সর্দি থেকে মুক্তির উপায়, নাকের এলার্জি দূর করার উপায় | দ্রুত উপশম পেতে ঘরোয়া চিকিৎসা

    সর্দি থেকে মুক্তির উপায়, নাকের এলার্জি দূর করার উপায় | দ্রুত উপশম পেতে ঘরোয়া চিকিৎসা

    নাকের এলার্জি হচ্ছে নাকের ঝিল্লি প্রদাহের কারণে নাকের একটি সমস্যা। এটি সারা বিশ্বব্যাপী একটি স্বাস্থ্য সমস্যা। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ থেকে ২৫ শতাংশ নাকের এই রোগে আক্রান্ত। নাকের এলার্জি কোন মারাত্মক ক্ষতিকর রোগ না হলেও এ রোগের কারণে দৈনন্দিন জীবন প্রবাহ ব্যাহত হয়। এলার্জিজনিত সর্দি এবং হাঁচি জীবনকে অতিষ্ট করে তোলে। এই রোগে হঠাৎ…

    Read more

  • কফ, কাশি দূর করার উপায় | সঠিক চিকিৎসাই হতে পারে কাশি দূরীকরণের মাধ্যম

    কফ, কাশি দূর করার উপায় | সঠিক চিকিৎসাই হতে পারে কাশি দূরীকরণের মাধ্যম

    গলায় বুকে কফ জমে থাকা বেশ বিরক্তিকর একটি সমস্যা। ঋতু পরিবর্তনের ফলে আবহাওয়া পরিবর্তন হয়। আর আবহাওয়ার এই দ্রুত পরিবর্তন আমাদের শরীর খাপ খাওয়াতে পারে না, যার কারণে সৃষ্টি হয় ঠান্ডা জ্বর ও সর্দি-কাশির। ঠান্ডা সর্দি কাশি এগুলো আমাদের কাছে খুব পরিচিত রোগ হলেও এই ঠান্ডা সর্দি কাশি থেকে আমাদের দেহে অনেক বড় বড় অসুখ…

    Read more

  • ওজন কমানোর উপায় ডায়েট চার্ট | সুস্থ স্বাভাবিক জীবন

    ওজন কমানোর উপায় ডায়েট চার্ট | সুস্থ স্বাভাবিক জীবন

    সুস্থ স্বাভাবিক এবং রোগমুক্ত জীবন আমরা কে না চাই। আর এই সুস্থ সুন্দর জীবন যাপন করার একমাত্র উপায় হচ্ছে শারীরিক ওজন ঠিক রাখা। কেননা ওজন বেড়ে গেলে যে কোন রোগের ঝুঁকি ও বেড়ে যায়। এজন্য বাড়তি ওজন অনেকের মানসিক অসুস্থির প্রধান কারণ। তাই রোগ প্রকোপ কমাতে এবং মানসিক শান্তির উদ্দেশ্যে আমাদের সকলের উচিত শারীরিক ওজন…

    Read more